প্রবাসে বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান, বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে জাসাস কুয়েত রাজ্য শাখা গত ২০ জানুয়ারী এক আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে সিটিস্থ হোটেল রাজধানী হলরুমে।
জাসাস কুয়েত রাজ্য শাখার আহবায়ক আকতারুজ্জামন মো: সামস এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল ইসলামের উপস্হাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুয়েত বি এন পি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোয়েব আহমেদ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কুয়েত বিএনপি’র সহ সভাপতি মাঈন উদ্দিন, সহ সভাপতি নাসের মর্তুজা, সহ প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদের, বিএনপি নেতা ও জাতীয়তাবাদী সিলেট ফোরামের যুগ্মসম্পাদক ও জাসাস কুয়েত আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ফোরাম সিলেট বিভাগ কুয়েত, উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম শেখ নিজামুর রহমান টিপু জাসাস অন্যতম সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ফোরাম সিলেট বিভাগ যুগ্মসম্পাদক সুমন আহমেদ আনসারী, জাসাস আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহী ইমরান সিকদার, শ্রমিকদলের কুয়েত রাজ্য শাখার সাধারন সম্পাদক গোল্ডেন সেলিম, বি এন পি নেতা জাহেদ আহমেদ, বি এন পি আহমেদী প্রদেশ শাখার সাধারন সম্পাদক জাফর ইকবাল পলাশ, বিএনপি মোবারক কবির প্রদেশ শাখার সাধারন সম্পাদক কোরবান আলী, বিএনপি মাহাবুল্লাহ আন্চলিখ শাখার সভাপতি হাসান আহমেদ প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে বলেন জিয়াউর রহমান ছিলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়ক ও বাংলার আকাশে সবচেয়ে উজ্জল নক্ষত্র। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, উদার নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার সৈনিক। মাত্র ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার করেই জিয়াউর রহমান হয়ে উঠেছিলেন সাধারণ জনগণ সহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর কাছে জনপ্রিয় ও তার ওপর তাদের ছিলো প্রচণ্ড আস্থা।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার যে চক্রান্তে মেতে উঠেছে বিশ্ববাসী দেখছে। শুধু বাংলাদেশেরই নয় বিশ্ববাসী জানেন জিয়াই স্বাধীনতার একমাত্র ঘোষক ছিলেন। জিয়া পরিবার কে ধ্বংস করার জন্য ১/১১ থেকেই হাসিনা ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিন্তু জিয়া পরিবারকে কোনো ভাবেই ধ্বংশ করা যাবেনা, কারন বাংলাদশের জনগণ তাদের পাশে আছে ও থাকবে।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে জাতীর গভীর সংকটময় মুহুর্তে আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রস্টা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করছি। যদিও তাতে অনেক আনন্দ করার কথা ছিলো । কিন্তু আমরা ব্যাথিত আমাদের সহযোদ্ধা ভাইয়েরা বর্তমানে ঘর ছাড়া। দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশ ছাড়া, নেতা ও কর্মিরা খুন ও ঘুমের শিকার হচ্ছে।
জিয়া ছিলেন উন্নয়নের রাজনিতির বিশ্বাসী.তাইতো সকল দল কে নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, বিচার বিভাগ ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু বিচার বিভাগ কে কুক্ষিত করা হচ্ছে, শিক্ষা ব্যাবস্হা কে ধ্বংস করা হচ্ছে, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা কে কেড়ে নিয়ে বাকশালীদের বাক্সে বন্ধি হয়ে আছে।
দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক জিয়ার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের স্বতপূর্ত ভালোবাসা ও জনসমর্থন দেখে অবৈধ্য হাসিনার সরকার দিশেহারা হয়ে একের পর এক অগনিত মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। নির্বাচনে যেনো না আসতে পারে।
বিএনপি’র প্রতি জনগণের এতো সমর্থন দেখে হাসিনা এতো আতংকে আছেন, আতংকে ভূগতে ভূগতে এখন জলাতঙ্ক রোগে ভূগতেছেন। খুন – গুম, হত্যা শুধু বিএনপি কর্মিদের করেই ক্লান্ত হয়নি তাদের নিজেদের টেন্ডারবাজী, ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই হত্যায় লিপ্ত হচ্ছে যার প্রমান কিছু দিন আগেও শামিম ওসমান ও আইভী রহমান.সহ বিভিন্ন কলেজের আভ্যন্তরীন কোন্দলে একের পর এক হত্যাযজ্ঞ ঘটে যাচ্ছে। তাতেই প্রমান হয় দেশে আইন-শৃংখলা বাহিনী আছে বলে মনে হয় না। বক্তব্য বলেন জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের জনগণের মধ্যেই সিমাবদ্ধ ছিলো না, বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর মাঝেও জনপ্রিয় ছিলেন।
অনুষ্টান শেষে মরহুম প্রেসিডন্ট জিয়াউর রহমানের আত্নার মাঘফেরাত কামনা করে ও দেশের জন্য শান্তী চেয়ে মোনাজাত করেন মৌলানা নুরুনবী।